নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা (Bhaifota)। ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাদের মঙ্গল কামনা করার দিন। অনুষ্ঠানটি একান্ত পারিবারিক হলেও বাঙালি বাড়িতে খাওয়া দাওয়া ছাড়া কোন অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। আর ভাইফোঁটার দিনে ভাইয়ের জন্য জমজমাট জলখাবারের আয়োজনতো করতেই হয় বোনেদের। বাঙালি বাড়িতে জল খাবার মানেই প্রথম যে খাবারের নামটা মনে আসে তা হল কচুরি। তবে সাধারণ কচুরি নয়। ভাইফোঁটায় এবার ভাইয়ের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন নতুন স্বাদের মাছের কচুরি (Fish kochuri)।
কচুরির তৈরির উপকরণ
ময়দা : ২ কাপ
ঘি : ২ টেবিল চামচ
নুন : স্বাদ অনুযায়ী
গরম জল : ময়দা মাখার জন্য
তেল : ২ কাপ
মাছের পুর তৈরির উপকরণ
ভেটকি মাছ : ৩০০ গ্রাম
পেঁয়াজ : ১টি
রসুন : ২-৩ কোয়া
আদা : ছোট এক টুকরো
হলুদ গুঁড়ো : আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো : ১ চা চামচ
পাঁচ ফোড়ন : ১ চা চামচ
ভাজা জিরে গুঁড়ো : ১ চা চামচ
গরম মশলা : ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা : ৩-৪টি
সরষের তেল : ২ টেবিল চামচ
পাতি লেবু : ১টি
ধনে পাতা : আধ কাপ
নুন : স্বাদ অনুযায়ী
চিনি : এক চিমটে
প্রণালী
প্রথমে ময়দা ভালো করে চেলে নিয়ে অল্প একটু নুন এবং ঘি মিশিয়ে নিন। এবার ময়দা ঝুরঝরে হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে মেখে রেখে দিন। এবার মাছের ফিলেগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কাটতে হবে। মাছে কাঁটা থাকলে তা ছাড়িয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা বাটা দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এর মধ্যে অল্প হলুদ, লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো দিয়ে আরও একটু নেড়ে নিন। মশলা কষা হলে এর মধ্যে মাছের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়তে থাকুন। মাছ ঝুরঝুরে করে ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে লঙ্কা কুচি, নুন, ও অল্প চিনি দিন। এবার একটু নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মাছ ভাজা নামিয়ে নিয়ে থেকে উপর থেকে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচো ছড়িয়ে দিন। মাছ ভাজা ঠান্ডা হয়ে গেলে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিলেই মাছের পুর তৈরি হয়ে যাবে। এবার মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। লেচির ভিতরে মাছের পুর ভরে হালকা করে বেলে নিন। কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে কচুরি ভেজে তুলে নিন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে গরম গরম মাছের কচুরি। এবার ভাইয়ের পরিবেশন করুন গরম গরম মাছের কচুরি।