নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বাদে কালকেই ঈদ। মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। প্রতিটি ধর্মেরই নির্দিষ্ট ফ্যাস্টিভ্যাল আছে, আমাদের বাঙালিদের যেমন শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। তেমনি মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ঈদ। এদিনের জন্যে বিগত ১ মাস ধরে চলে রোজা। এছাড়া স্পেশাল রান্না-বান্না, নতুন নতুন জামা-কাপড় কেনা তো আছেই। যদিও এখন প্রায় শেষ মুহূর্তে, কালকের দিনটি কে কিভাবে উদযাপন করবেন, সেই পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছেন সবাই মোটামুটি। আর ঈদের দিনে প্রতিটি ঘরে ঘরে দুপুরের খাবারের আয়োজন হতে হবে জম্পেশ। বিশেষ করে বিরিয়ানি, এই খাবার টি পাতে পড়লেই ঈদের দিন এক্কেবারে জমে যাবে। তবে বিরিয়ানি অনেক ধরনের আছে। ঈদের দিনে খাবারের তালিকায় বিরিয়ানির জন্যে কাশ্মীরি বিরিয়ানি রাখতেই পারেন। কি ভাবছেন কেমন করে বানাবেন তাইতো, জেনে নিন চটজলদি এই রান্নার প্রণালী।
উপকরণ
হাড়ছাড়া মাংসের টুকরা ৪ কাপ
চাল ৫ কাপ
গাজর টুকরা ১ কাপ
মটরশুটি ১ কাপ
লবঙ্গ ৪ টি
তেজপাতা ২ টি
কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ
গোলাপজল ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ৮-১০টি
গোল আলু ৫/৬টি
গরম পানি ৮ কাপ
কাজু বাদাম আধা কাপ
গুঁড়া দুধ আধা কাপ
পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ
পেস্তা বাদাম আধা কাপ
বাটার অয়েল দেড় কাপ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১চা চামচ
জিরা বাটা ১চা চামচ
পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ
টক দই ১ কাপ
লবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মাংসের টুকরাগুলিকে ১চা চামচ আদাবাটা, আধা চা চামচ রসুন বাটা, পৌনে কাপ টক দই ও লবণ দিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। এরপর সব সবজি গুলির মধ্যে লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে নিন। অন্যদিকে চাল ধুয়ে তার থেকে জল ঝরিয়ে নিন। এরপর ৪ টেবিল চামচ বাটার অয়েল গরম করে তার মধ্যে কিশমিশ ও কাজু বাদাম দিয়ে ভেজে নিন। এরপর ভাল করে আলু ভেজে নিন। এরপর বাকি বাটার অয়েল গরম করে নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ ভেজে কিছুটা উঠিয়ে রেখে দিন। এরপর সব বাটা মশলা দিয়ে মাংস কষিয়ে নিন। এরপর তার মধ্যে চাল দিয়ে ভেজে নিন। মনে রাখবেন এই সময়ে গরম মশলা ও তেজপাতা দিতে হবে। এরপর দুধ দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট ভেজে পানি দিয়ে দিন। তারপর লবণ ও আলু দিয়ে পানি কমে এলে টক দই, চিনি, স্বাদমেতা লবণ দিয়ে মটরশুঁটি ও বাকি উপকরণ দিয়ে ২৫-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। সবশেষে সার্ভিং ডিশে ঢেলে পেঁয়াজ, কিশমিশ, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু ‘কাশ্মীরি বিরিয়ানি’।