নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: করোনাভাইরাসে সংক্রমণে কার্যত দিশেহারা দেশ। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত এক সপ্তাহে ২২২ শতাংশ বেড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে দেশে করোনার নতুন করে তাণ্ডবের পিছনে ওমিক্রন নয়, ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই দায়ী বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এক লাফে পাঁচ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২২২ জন। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আটজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জন। আর মারণ ভাইরাসের বলি হলেন ২৮ হাজার ১৪৪ জন। সবচেয়ে উদ্বেগের হলো, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে প্রতি ছয়জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক নাজমুল ইসলাম এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৮২ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ২০ হাজার ২৮০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ ২২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। আগের সপ্তাহে করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন। আর গত সপ্তাহে প্রাণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। অর্থাৎ ৮৫ শতাংশ বেড়েছে মৃত্যু।’
দেশে করোনার বেনজির তাণ্ডবের পিছনে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন প্রজাতির অবদান রয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করলেও তা মানতে রাজি হননি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন এখনও পর্যন্ত তেমন দাপট দেখায়নি। বরং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটেই সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।’