নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা কয়েকদিন ধরে বেলাগাম তাণ্ডব চালানোর পরে রাজ্যে নিম্নমুখী করোনার সংক্রমণ। আগের দিনের চেয়ে গত ২৪ ঘন্টায় অনেকটাইও কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৪ জন। দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও দৈনিক মৃত্যু এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ৩৯ জন। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা অনেকটাই কমেছে। একদিনে নতুন করে ৬৪ হাজার ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫২ শতাংশে। ১৯ হাজার ৬৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রাজ্যে এ নিয়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লাখ ৮২ হাজার ৭৬১ জনে। একই সময়ে করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৫২ জন।’
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ অনেকটা কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৩১ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। কলকাতার পরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাতে নতুন করে তিন হাজার ৪৯৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে হাওড়াতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার তিনজন, হুগলিতে এক হাজার ৭২ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক হাজার ২৮২ জন।
দৈনিক সংক্রমণ স্বস্তি দিলেও সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ১৩২ জন। যার ফলে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা ১৭ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৭ হাজার ৩৩৩ জন। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ৯ হাজার ৮৯৩টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৬ জন।