নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বকালীন রেকর্ড গড়ার পরের দিনে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। ২০ হাজারের গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৮৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যু-ও আগের দিনের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ১৬ জন। তবে শনাক্তের হার আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। রবিবার যেখানে শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ২৯ শতাংশ, সোমবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশে।
রাজ্যে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে রবিবার দৈনিক সংক্রমণ সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ২৪ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। ফলে উদ্বেগের পাশাপাশি একলহমায় আতঙ্কও অনেকটা বেড়েছিল। সেই উদ্বেগ কাটল না সোমবার সন্ধ্যাতেও। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা অনেকটাই কমেছে। ২০ হাজারের কাছাকাছি কমেছে নমুনা পরীক্ষা। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশে। আরও ১৯ হাজার ২৮৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩২ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে আরও ১৬ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৯১৭ জন।’
দৈনিক সংক্রমণে যথারীতি শীর্ষ রয়েছে কলকাতা। তবে একদিনে তিন হাজারের মতো কম আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৬৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে চার জনের। কলকাতার পরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলায় একদিনে নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৯৭ জন। ওই জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও ১,২৫৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। হাওড়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৬২৫ জন, হুগলিতে ৯৩৪ জন। পশ্চিম বর্ধমানে ১,০০৮ জন এবং পূর্ব বর্ধমানে ৬১৬ জন।
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসকে হারিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ১৮৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ২২১ জন। সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ১১ হাজার ৮৩টি। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ১৯৪ জন।’