নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ২১ হাজার ৯৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুও। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আরও ১৯ জন। তবে স্বস্তি দিয়েছে শনাক্তের হার। আগের দিনের তুলনায় পাঁচ শতাংশের মতো কমেছে সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে দৈনিক সংক্রমণ ফের সাড়ে ছয় হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
গত রবিবারই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছিল। একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৪ হাজার ২৮৭ জন। ফলে উদ্বেগ ও আতঙ্ক অনেকটাই বেড়েছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ার ফলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজারের ঘরে নেমে এসেছিল। ১৯ হাজার ২৮৬ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছিল মারণ ভাইরাস। মঙ্গলবার অবশ্য ফের বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৪ হাজারের মতো বেড়েছে। নতুন করে আরও ৬৫ হাজার ২১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশে। আরও ২১ হাজার ৯৮ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩০ জনে। পাশাপাশি একই সময়ে মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৯৩৭ জন।’
রাজ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৫ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। হাওড়ায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৮১৫ জন, প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। হুগলিতে আরও এক হাজার ৩০৫ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৩৫ জন।’
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৩৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৮ জনে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ২০ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ১৩ হাজার ৪২টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ফের লাখের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২ হাজার ২৩৬ জনে।