নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মঙ্গলে দিল্লি থেকে এল মঙ্গলবার্তা।
দীর্ঘ আড়াই বছর বাদে এই প্রথম কোভিডে মৃত্যুশূন্যের সাক্ষী রইল দেশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বুলেটিন সে কথাই বলছে। বুলেটিন এও বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ২০২০-য়ের মার্চে দেশে প্রথম করোনায় প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী ছিল ভারত। কর্নাটকের কালাবুর্গির ৭৬ বছরের এক প্রবীণের মৃত্যু হয়। তারপরের চিত্র কি ছিল, তা আমাদের সকলেরই জানা। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেরিয়েছিল করোনা। এই ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে জারি করতে হয়েছিল লকডাউন। তাতে দৈনিক সংক্রমণে অনেকটাই লাগাম পরানো সম্ভব হলেও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন রীতিমতো প্রভাবিত হয়েছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাওয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও জারি ছিল কড়া বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল রীতিমতো উর্ধ্বমুখী। সরকার যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় করোনা টিকা দিতে শুরু করে। তাতে দৈনিক সংক্রমণে অনেকটাই লাগাম পরানো সম্ভব হয়েছিল। এখন করোনায় আক্রান্ত শূন্যে না নেমে এলেও পরিস্থিতি তেমন আর উদ্বেগজনক নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসকে একেবারেই হাল্কাভাবে দেখা উচিত নয়। কিছু না হলেও কমপক্ষে মাস্ক পরে থাকা প্রয়োজন।প্রবীণদের দিকে নজর রাখা উচিত।
এদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন, ৬২৫জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।