নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়তেই রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আরও ৮৮৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা চারদিন দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডির নিচে। দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় কমেছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ২৮ জন। শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়ে এক দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। একদিনে ১৬১টি ল্যাবরেটরিতে ৪৬ হাজার ৮৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৮৯ শতাংশে। যার ফলে ৮৮৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ৮ হাজার ১৩৩ জন। পাশাপাশি একদিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ২৮ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হয়েছেন ২০ হাজার ৯৮২ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘রাজ্যের দুই জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘন্টায় একশোর বেশি করোনা রোগীকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ১৩২ জন। কলকাতায় ১০২ জন। বাকি ২১ জেলাতে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও জলপাইগুড়িতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন করে মারা গিয়েছেন। কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিংয়ে তিন জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।’
সুস্থতার হার যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৪৭০ জন। এ নিয়ে করোনার সঙ্গে জীবনযুদ্ধে জয়ী হলেন ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৮২৬ জন। সুস্থতার হার দাঁড়াল ৯৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ৬১৪টি। যার ফলে রাজ্যে এই মুহুর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৯৫ জনে।