নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও কমেছে শনাক্তের হার। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ১৯১ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ১৩ শতাংশে। সবচেয়ে স্বস্তির হলো, রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লক্ষের বেশি।
চলতি বছরের প্রথম দিকে বেনজির তাণ্ডব চালালেও গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের ঘরে নেমে এসেছিল। শুক্রবার সংক্রমণ কমে ৯ হাজারের ঘরে এসে দাঁড়ায়। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হার-ও রীতিমতো কমতে শুরু করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮২ হাজার ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ১৩ শতাংশে। নতুন করে আরও ৯ হাজার ১৯১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৫ জনে। পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৩০২ জন।’
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৪৮৯ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় অবশ্য আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণ পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৩৬০ জন। জেলায় মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। হাওড়ায় আরও ৩৪১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একদিনে জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৩১ এবং হুগলিতে ৩৩৩ জন নতুন করে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সুস্থতার ক্রমশই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ৩১৩ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা ১৮ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১১ হাজার ১৫৯টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭ জনে।’