নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়তেই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় সামান্য বাড়ল। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। তবে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিয়েছে শনাক্তের হার। সোমবারই রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২ শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশে।
উৎসবের মরসুমে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে চোখ রাঙিয়ে চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দৈনিক সংক্রমণ সাতশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পজিটিভিটি রেট অর্থাৎ শনাক্তের হারও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল। অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছিল। অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। রাজ্যের ১৪৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩৫ হাজার ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার ২১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৬০ জনে। নতুন করে করোনার মৃত্যুমিছিলে আরও সামিল হয়েছেন ১১ জন। যার ফলে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৮ হাজার ৮৪৮ জন।’
দৈনিক সুস্থতার হারেও খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। টানা কয়েকদিন বাদে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩৭ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশই। বেশ কয়েকদিন বাদে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ২৯টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৭৫ জনে।’