নিজস্ব প্রতিনিধি: পরীক্ষা বাড়তেই রাজ্যে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৩০ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও সামান্য বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। তবে শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশে।
স্বঘোষিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে অমূলক প্রমাণ করে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে নিম্নমুখী করোনার সংক্রমণ। টানা ১২ দিন বাদে সোমবার দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছিল। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটা কম হয়েছিল। মঙ্গলবার সামান্য বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়ালেও আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।
এদিন রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৫৩ হাজার ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। নতুন করে ১০ হাজার ৪৩০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৪ জনে। একদিনে মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ১৫৫ জন।’
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে মারণ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০৫ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। কলকাতার লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৭৬১ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের হাওড়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন দু’জন। হুগলিতে নতুন করে আরও ৪৫৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
সুস্থতার হারও আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি। একদিনে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৩০৮ জন। যার ফলে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ জনে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৯১২টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৭১১ জনে।’