নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত চণ্ডীগড়। জানা যাচ্ছে চণ্ডীগড়ের একটি বড় অংশে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই। এর জেরে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসীরা। এতক্ষন ধরে বিদ্যুৎবিছিন্ন থাকার কারণে এই সমস্ত অঞ্চলগুলিকে জল সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভেঙে পড়ছে হাসপাতাল পরিষেবাও। জানা যাচ্ছে, চণ্ডীগড়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ৩ দিনের বন্ধ ডেকেছেন। আর সেই বনধের কারণেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চণ্ডীগড়ের একটি বিশাল এলাকা। হাজার হাজার বাড়ির জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। এমনকি চণ্ডীগড়ের কোনও কোনও জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যালের আলো পর্যন্ত ঠিকভাবে কাজ করছে না। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাসপাতাল পরিষেবা। ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড়ের একাধিক সরকারি হাসপাতাল সার্জারির তারিখ পরিবর্তন করতে শুরু করেছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সংস্থার বেসরকারিকরণ এবং বেত কমানর আশঙ্কায় প্রতিবাদের রাস্তায় নেমেছেন। মূলত এই কারণেই তাঁরা একটানা ৩ দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এর জেরেই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছে চণ্ডীগড়বাসী।
এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কে সবথেকে বেশী সমস্যার মুখে পড়েছে হাসপাতালগুলি। সরকারি হাসপাতালের আধিকারিকদের মতে, অল্প কিছুক্ষণের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা আছে। কিন্তু এতদি ধরে যদি জেনারেটরের ভরসায় গোটা হাসপাতাল চলে তাহলে কখনই হাসপাতালের কাজ একশো শতাংশ চলতে পারে না।