এই মুহূর্তে




মেঘ ভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হিমাচল, মর্মান্তিক মৃত্যু ৬৩ জনের




নিজস্ব প্রতিনিধি, সিমলা: কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে ৬৩ জন মারা গিয়েছেন। কতজন যে নিখোঁজ তার কোনও ইয়ত্তা নেই। ৭ জুলাই সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্ডি জেলা। সেখানে ত্রাণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং রাজস্ব বিভাগের বিশেষ সচিব ডিসি রানা বলেছেন , “আমাদের সিস্টেমে এখনও পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতির হিসাব রয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষতি সম্ভবত আরও অনেক বেশি। আমাদের এখন লক্ষ্য আরও অনুসন্ধান এবং উদ্ধার। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিতভাবে জানতে সময় লাগবে।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেবল হিমাচল নয়, গুজরাত ও রাজস্থান সহ বর্ষাকালে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অন্যান্য রাজ্যের জন্য ত্রাণ ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পর্যাপ্ত সংখ্যক এনডিআরএফ (জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী) দল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পাঠানো যেতে পারে।” রানা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

 

২০ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা প্রবেশ করে এবং প্রতি বছরের মতো রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চালায়। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাংড়ায় ১৩ জন, চাম্বায় ৬ জন এবং শিমলায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

মান্ডির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল থুনাগ এবং বাগসায়েদ। উভয়ই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা জয়রাম ঠাকুরের অধিকৃত বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মান্ডির কারসোগ এবং ধরমপুর এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র মান্ডি থেকেই নিখোঁজ কমপক্ষে ৪০ জন। বিলাসপুর, হামিরপুর, কিন্নৌর, কুল্লু, লাহুল স্পিতি, সিরমাউর, সোলান এবং উনা জেলা থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এছাড়াও, শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, ১৪টি সেতু ভেসে গিয়েছে। প্রায় ৩০০ গবাদি পশু মারা যাওয়ার খবর মিলেছে। এই মুহূর্তে হিমাচলের ৫০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ। ৫০০টিরও বেশি বিদ্যুৎ বিতরণ ট্রান্সফরমার (ডিটিআর) অকার্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকারে নিমজ্জিত এখন। জল ও খাদ্যের পুনরায় সংকটকে একটি আসন্ন মানবিক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাথার দাম ছিল প্রায় দেড় কোটি, সুকমায় আত্মসমর্পণ ২৩ জন মাওবাদীর

বিমান দুর্ঘটনায় বদ্ধপরিকর ছিলেন পাইলট, দাবি বিমান বিশেষজ্ঞের

‘শুখা’ বিহারে মদ খেয়ে মন্ত্রীর পাশে সরকারি আধিকারিক, গ্রেফতারের পর ওষুধ খাওয়ার যুক্তি

বৃষ্টিতে ডুবল রেললাইন, চালকের বুদ্ধিতে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন

১০০ ইউনিট করে বিনামূল্যে বিদ্যুৎদানের সুবিধা, নির্বাচনের আগে বড় উপহার নীতীশের

কানওয়ার যাত্রায় স্পষ্ট সম্প্রীতির চিত্র, গঙ্গাজল নিয়ে মহাদেবকে তুষ্ট করতে চললেন দুই মুসলিম যুবক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ