নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মেয়াদ শেষ হতে চলা সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ফের রাজ্যসভায় না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের ওই সিদ্ধান্ত নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে মোদি-শাহ জুটির অন্য পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের একাধিক রাজ্যের ৫৬ রাজ্যসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ওই ভোটের জন্য বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, এল মুরুগান-সহ একাধিক বিজেপি নেতা দ্বিতীয়বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেলেও সেই সৌভাগ্য হয়নি সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। ওই সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন রাজীব চন্দ্রশেখর (তথ্য-প্রযুক্তি), নারায়ণ রাণে (এমএসএমই), ধর্মেন্দ্র প্রধান (শিক্ষা মন্ত্রী), মনসুখ মাণ্ডব্য (স্বাস্থ্যমন্ত্রী), ভূপেন্দ্র যাদব (পরিবেশ), পুরুষোত্তম রুপালা (মৎস্য), বি মরলীধরন (বিদেশ প্রতিমন্ত্রী)।
বিজেপি সূত্রের খবর, সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই লোকসভা ভোটে লড়তে নামাচ্ছেন মোদি-শাহরা। তার মধ্যে ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজের রাজ্য ওড়িশার সম্বলপুর বা ঢেঙ্কানল থেকে দাঁড়াতে পারেন। ভূপেন্দ্র যাদব রাজস্থানের আলওয়ার কিংবা মহেন্দ্রগড়ের মধ্যে একটি আসনে লড়তে পারেন। তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর নিজের রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর কোনও আসন থেকে দাঁড়াতে পারেন। গুজরাতের রাজকোট থেকে প্রার্থী হবেন পুরুষোত্তম রুপালা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ভাবনগর কিংবা সুরাত থেকে দাঁড়াতে পারেন। এমএসএমই মন্ত্রী নারায়ণ রাণে মহারাষ্ট্রের কোনও আসন থেকে লড়বেন। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়তে চলেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বি মুরলীধরন। তাঁকে কেরলে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।