নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: অনেক চেষ্টা করেও বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোটের পুরোটা প্রত্যাহার করতে পারেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৭.২৬ শতাংশ নোট ফিরে এসেছে। বাজারে এখনও রয়ে গিয়েছে ৯,৭৬০ কোটি টাকা মূল্যের নোট। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমন তথ্যই জানিয়েছে আরবিআই। সেই সঙ্গে যাদের কাছে ২,০০০ টাকার নোট রয়ে গিয়েছে তাদের তা জমা করার অনুরোধও জানিয়েছে। অর্থাৎ ডাকঘর এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি আঞ্চলিক শাখায় ২,০০০ টাকার নোট জমা করার সুযোগ থাকছে।
গত ১৯ মে রাতারাতিই দেশ থেকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালে আচমকাই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের কোটি-কোটি মানুষকে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মূলপাণ্ডা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিশ্বস্ত অনুচর’ হিসেবে পরিচিত শক্তিকান্ত দাসের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কেন ঘটা করে চালু করার সাত বছরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হলো, তা নিয়ে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। শুধু জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে চালু থাকবে ২,০০০ টাকার নোট। ওই সময়ের মধ্যে আমজনতাকে তাঁদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে হবে।
কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ২,০০০ টাকার নোট জমা না পড়ায় সময়সীমা বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর করেছিল আরবিআই। ওই দিন পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলি ২,০০০ টাকার নোট জমা নিয়েছিল। তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আরবিআইয়ের ১৯টি কার্যালয়ে টাকা বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু হাজারো চেষ্টা সত্বেও বাজারে চালু সব ২০০০ টাকার নোট ফেরাতে পারেনি আরবিআই। গত ১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৯৭ শতাংশ ২,০০০ টাকার নোট ফিরে এসেছে। বাজারে এখনও ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট রয়ে গিয়েছে। নোট বদলের সুযোগ দেওয়া সত্বেও গত এক মাসে মাত্র .২৬ শতাংশ ২০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে।