নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে কখন যে কী হয় কেউ জানে না। দুজনের সম্পর্ক বেশ চলছিল, কিন্তু প্রেমিক সেই সম্পর্ক ভাঙতে না চাওয়ায় তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করলেন প্রেমিকা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে। সোমবার টানা ৮ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণী অপরাধ স্বীকার করে নেয় পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যে তরুণীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা শ্যারন রাজ। ২৩ বছর বয়স তাঁর। রেডিওলজির ছাত্র শ্যারনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গ্রীষ্মা নামের এক তরুণীর। বেশ চলছিল সেই সম্পর্ক। কিন্তু ইদানিং সম্পর্কে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল তাদের। শ্যারনের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে গ্রীষ্মা তাঁর প্রেমিককে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৪ অক্টোবর প্রেমিকা নিজের বাড়িতে শ্যারনকে ডাকে। এরপর তাঁকে একটি আয়ুর্বেদিক মিশ্রণের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে দেন। এরপর ওই যুবক বমি করতে থাকেন। পরে তার বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে চলে যান। তিরুঅনন্তপুরম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই যুবক। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন গত ২৫ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, শ্যারনের বান্ধবী তাঁকে খুন করেছে। চিকিৎসা চলাকালীন গত ২০ অক্টোবর তার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তারপর দিন ২১ অক্টোবর পুলিশ ওই যুবকের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেয়। জবানবন্দিতে ওই যুবক বারবার জানান, তিনি কাউকে সন্দেহ করেননি।
এই ঘটনা নিয়ে এডিজিপি অজিত কুমার বলেন, তরুণী শ্যারনকে তার বাড়িতে ডেকেছিলেন। এরপর একটি আয়ুর্বেদিক মিশ্রণের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে যুবককে পান করান। এর পরই তিনি বমি করেন এবং পরে বন্ধুর সঙ্গে চলে যান। তিনি জানিয়েছে এই গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা করেই ঘটিয়েছেন তরুণী।