নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বর্ষবরণের রাতে আরও একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর এল নয়ডা থেকে।
পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক তরুণী গত পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ৩১ ডিসেম্বর রাত নয়টায়। দুর্ঘটনায় আরও দুইজন জখম হয়েছেন। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় চারদিন। এই খবর লেখা পর্যন্ত সেই গাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তরুণী বি-টেকের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। বাড়ি বিহারে। তরুণীর বাবা-মা এবং পরিবারের কয়েকজন নয়ডা পৌঁছে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম সুইটি। দুর্ঘটনার সময় সুইটির সঙ্গে ছিল তার এক সতীর্থ পড়ুয়া। পুলিশকে সে জানিয়েছে, বর্ষবরণের রাতে সুইটি, সে এবং আরও একজন গ্রেটার নয়ডার বেটা-টু বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। আচমকাই দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরে পালায়। সুইটি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম হয় তাঁর দুই বান্ধবীও। ঘটনাস্থলের আশে-পাশে থাকা কয়েকজন তাদের ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তারা প্রথমে পুলিশকে খবর দেয় এবং কৈলাশ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।
হাসতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম তরুণীকে রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্টে। মাথায় গুরুতর চোট। রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্টে। পুলিশ ঘাতক গাড়ির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন দিল্লিতে তরুণীকে গাড়ি টেনে নিয়ে গেল চার কিলোমিটার, মৃত্যু