নিজস্ব প্রতিনিধি, উটি (তামিলনাড়ু): দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন আর কালকা শিমলা টয় ট্রেনের কথা শোনেনি এমন লোক হাতে গোনা। ট্রেনের জনপ্রিয়তার কথা সবাই জানেন। দার্জিলিং বা কালকা-শিমলা টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তার কারণ এই ট্রেনে করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বলা যেতে পারে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেই ভ্রমণবিলাসীরা এই ট্রেনে চড়েন। ট্রেন চলে খুব ধীরে। গজগমন বলতে যা বোঝায়।
এবার হদিশ মিলল আরও এক ধীরগতির ট্রেনের। সেটা এতটাই আস্তে চলে যে ৪৬ কিলোমিটার যেতে সময় নেয় পাঁচ ঘণ্টা। গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটার। ভারতে সব চেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনের থেকে ১৬ গুন কম গতিবেগ। এই ট্রেনের নাম মেত্তুপালায়াম-উটি নীলগিরি প্যাসেঞ্জার । ইতোমধ্যে এই ট্রেন ইউনেস্কোর মর্যাদা পেয়েছে।
ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট অনুসারে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের প্রথম প্রস্তাব পেশ হয় ১৮৫৪ সালে। কিন্তু অত্যন্ত স্থানটি অধিক উচ্চতায় হওয়ায় কাজ শুরু হয় ১৮৯১ সালে। শেষ হয় ১৯০৮ সালে। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং ট্যুরিজম কর্পোরেশন অনুসারে, ৪৬ কিলোমিটার এই রেলপথে রয়েছে অজস্র টানেল। রয়েছে সেতু। ৪৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে পড়বে পাহাড়ি নদী। চোখে পড়বে চা-বাগান।
ট্রেন মেত্তুপালায়াম থেকে ছাড়ে সকাল ৭.১০ঘ.তে। উটি পৌঁছয় বেলা ১২টায়। আবার সেখান থেকে দুপুর ২টোর সময় ছেড়ে মেত্তুপালায়াম পৌঁছয় বিকেল ৫.৩৫ঘ.তে। চলাচলের পথে পড়বে বেশ কয়েকটি স্টেশন। উল্লেখযোগ্য স্টেশনগুলি হল কুনুর, ওয়েলিংটন, আরাভানকাড়ু, কেত্তি এবং লাভডেল।
তাহলে ভ্রমণপিপাসুদের আগামীদিনের গন্তব্য সিমলা বা দার্জিলিং নয়, উটি।
আরও পড়ুন ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে টয় ট্রেনের স্টেশনগুলিতে রেস্তোরাঁ বানাচ্ছে রেল