নিজস্ব প্রতিনিধি, বিদার (অন্ধ্রপ্রদেশ): কপালে দুর্ভোগ লেখা থাকলে তাহলে সেই দুর্ভোগ এড়ান বেশ কঠিন।
অন্যান্য দিনের মতো অশোক হিলালপুরা কন্ডাক্টারি (conductor) করছিলেন। মাঝপথে এক পাখি বিক্রেতা খাঁচাভর্তি পাখি (love birds) নিয়ে বাসে উঠে বসে। অশোক একাধিকবার কন্ডাক্টরকে টিকিট কাটার অনুরোধ করে। সেই সঙ্গে জানায়, খাঁচায় (cage) থাকা পাখিদের প্রত্যেকের জন্য হাফ-টিকিট কাটতে হবে। পাখিদের মালিক টিকিট (ticket) কাটতে অস্বীকার করে। বাসের অন্যান্য যাত্রীও তাকে সমর্থন করে বসে। তাদের দাবি, খাঁচার (cage) জন্য বাসের আহামরি কোনও জায়গা দখল হয়নি। তাছাড়া পাখিদের জন্য টিকিট কেন কাটতে হবে। ওরা তো আর সাধারণ মানুষের বাসের সিটে বসে নেই। চাপে পড়ে অশোক আর কিছু বলেনি।
গোল বাঁধল কিছুটা দূর গিয়ে। রাস্তায় চলছিল চেকিং। অশোক হিলালপুরা যে বাসে কন্ডাক্টরি করছিল, ভিজিল্যান্স কর্তা সেই বাসটিকে দাঁড়াতে বলে। পালিয়ে গেলে বিপদ আরও বাড়বে, সেটা বুঝে অশোক তাঁর ড্রাইভারকে বাস দাঁড় করাতে বলে। ভিজিল্যান্স কর্তারা বাসে উঠে দেখেন এক যাত্রী খাঁচায় (cage) পাখি নিয়ে উঠেছে। তাঁকে টিকিট দেখাতে বলে। সে টিকিট (ticket) দেখাতে পারেনি।কন্ডাক্টর (conductor) অশোককে প্রশ্ন করে। সে কোনও উত্তর দিতে পারেনি। ভিজিল্যান্স কর্তারা সেখানেই অশোককে জরিমানা করে। সেই সঙ্গে পাখি-পিছু ১১৪ টাকা করে টিকিট ধার্য করে। কন্ডাক্টরকে সেই টাকা দিতে হয়েছে। পাশাপাশি কন্ডাক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অশোক এখন কপাল চাপড়াচ্ছে।