নিজস্ব প্রতিনিধি, পাটনা: অধস্তন কর্মীদের কাজে অখুশি। তাই, তাদের শাস্তি দিতে থানার লকআপে দুই ঘণ্টা আটকে রাখলেন বড়বাবু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ঘটনা। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে ওই পাঁচ অধস্তনকর্মী বড় বাবুর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরে থানার বড়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই খবর অস্বীকার করে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি জাল। ঘটনা নওয়াদার।
ঘটনাটি শনিবারের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে (এই মুহূর্ত সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছে, পাঁচ অধস্তন পুলিশকর্মী- সাব ইন্সপেক্টর শত্রুঘন পাসওয়ান, রামরেখা সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সন্তোষ পবন, সঞ্জয় সিং এবং রামেশ্বর উরাঁওকে থানার লকআপে ঢুকিয়ে দেন থানার পুলিশ সুপার। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তিনি ওই থানায় পৌঁছন। ওই পাচকর্মীকে তিনি তাদের কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বড়বাবু নিজেই লকআপ চাবি দিয়ে খুলে ওই পাঁচজনকে লকআপে ঢুকিয়ে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর নানা প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন কড়া ভাষায় ওই ঘটনার নিন্দা করে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের দাবি তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার ভিডিয়ো সম্পর্কে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ওটা ফেক। একই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো চোখে পড়ে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিংয়ের। তিনি এসপির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। ফোন বন্ধ ছিল।