নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নয়া আবগারি নীতি ঘোষণার বিনিময়ে সুরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে নেওয়া টাকা গোয়া বিধানসভা ভোটে খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। দিল্লি আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও ইডির চার্জশিটে যে দাবি করা হয়েছে তা খারিজ করে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির পোষ্য ভৃত্য ইডি রাজনৈতিক এজেন্সি হিসেবেই যে কাজ করছে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। আপ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।’
দিল্লির আপ সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। নয়া আবগারি নীতি ঘোষণার পিছনে আপের আর্থিক স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। ১০০ কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়েই নয়া আবগারি নীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি পদ্ম শিবিরের নেতাদের। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপ সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা। তদন্তে নেমে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিজয় নায়ার নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসায় তদন্তে নেমেছিল ইডিও।
দিল্লির আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নয়া আবগারি নীতি ঘোষণার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ প্রচুর টাকা নিয়েছিল আম আদমি পার্টি। ২০২২ সালের গোয়া বিধানসভা ভোটে ওই অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা খরচ করা হয়েছে। দলের হয়ে সমীক্ষার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। খোদ অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ার ওই টাকা দিয়েছিলেন।’