নিজস্ব প্রতিনিধি : তান্ত্রিকের পাল্লায় পড়ে মৃত বাবাকে জীবিত করতে দু’মাসের শিশুকে অপহরণ। তারপর শিশুটিকে বলি দেওয়ার ছক। যদিও পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ছক। ঘটনাটি দিল্লিতে।
কয়েকদিন আগেই দিল্লির একটি হাসপাতালে এক মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর ওই মহিলার কাছে আসেন শ্বেতা নামে ২৫ বছরের এক যুবতী। নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। এবং বলেন, তিনি ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সন্তানকে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং মায়ের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন। সেই মতো ওই মহিলার বাড়িতে প্রায় আসতে শুরু করেন শ্বেতা। এরপর বাচ্চাটির দুই মাস বয়স হলে ওই যুবতী ফের যান। এবং বাচ্চার মাকে বলেন যে তাঁর শিশুকে একটু বেড়াতে নিয়ে যেতে চান তিনি। ঘন ঘন বাড়িতে আসায় বিশ্বাস জন্মে যায় ওই সন্তানের মায়ের। তিনি রাজি হন। তবে শিশুটিকে একা না ছেড়ে নিজের ২১ বছরের ভাগ্নিকেও যুবতীর সঙ্গে পাঠান। এর পর শ্বেতা ওই বাচ্চাটিকে এবং ভাগ্নিকে নিয়ে গাড়ি করে চলে যান। ভাগ্নিকে গাড়িতে একটি জুস খেতে দেন। যাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। অচৈতন্য অবস্থায় ভাগ্নিকে রাস্তায় ফেলে বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যায় শ্বেতা। এর পর থানায় অভিযোগ করেন বাচ্চার মা। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের একটা টিম সদ্যোজাতকে খুঁজতে লেগে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়। তার পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লির একটি মন্দির থেকে গ্রেফতার করা হয় শ্বেতাকে। সঙ্গেই ছিল শিশুটি। একবারে সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শ্বেতা জেরায় জানান, যে গত অক্টোবর মাসে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁকে এক তান্ত্রিক বলে যদি দু’মাসের কোনও শিশুকে বলি দেওয়া হয়। তবে ফের তাঁর বাবা জীবিত হয়ে ফিরে আসবেন। সেই জন্য বাচ্চাটিকে অপহরণ করে মেরে বা বলি দিতে চেয়েছিল শ্বেতা। আপাতত পুলিশের হেফাজতে ওই যুবতী। ওই তান্ত্রিকের খোঁজ চলছে।