নিজস্ব প্রতিনিধি : অসমের ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে হস্টেলের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ছাত্র। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দলের পান্ডা পলাতক। গুরুতর আহত ছাত্রের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র আনন্দ শর্মা। আনন্দের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের একাংশ। সেই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই ছাত্রাবাসের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন আনন্দ। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি আনন্দকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানেই আহত ছাত্রের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আনন্দের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরে ডিব্রুগড় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে আহত ছাত্রের পরিবার। তারপরেই সহপাঠীকে র্যাগিং করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র পরানজিৎ বড়ুয়া, নিরঞ্জন ঠাকুর, সীমন্ত হাজারিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। র্যাগিংয়ের মূল পান্ডা রাহুল ছেত্রী পলাতক।
ছাত্র র্যাগিংয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজ্যের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ‘নো টু র্যাগিং’-এর ডাক দিয়েছেন তিনি। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর জেরে ছাত্রের আহত হওয়ার কথা জানতে পেরেছি। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। জেলা প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতের চিকিৎসা চলছে’।’ সূত্রের খবর, ঘটনার সময়ে আনন্দ ছাড়াও আরও দু’জন জুনিয়র ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপরেও চলছিল অত্যাচার। অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জীতেন হাজারিকা। দোষীদের কড়া সাজা হবে বলে আশ্বাস সেন উপাচার্য।