নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুনের রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই ফের খুন। এবার খুন হলেন একই পরিবারের চারজন। খুনি পরিবারেরই এক সদস্য। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফিরেই সে এই কাণ্ড করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ফের হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড দিল্লিতে। পরিবারের ঠাকুমা, বাবা-মা ও বোনকে খুন করল এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীতে। পুলিশ সূত্রে খবর, কেশব (২৫) নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তার মাদকের নেশা ছাড়াতে পরিবারের সদস্যরা তাকে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন। গতকালই কেশব ওই কেন্দ্র থেকে ফেরে। তারপরই রাতে সবাইকে খুন করে। গলার নলি কাটার পাশাপাশি প্রত্যেককে ছুরি দিয়ে কোপায় সে। পুলিশ এসে যখন তাকে গ্রেফতার করে, তখন গোটা বাড়িতে রক্ত ছড়িয়ে আছে। মৃতরা হলেন যুবকের ঠাকুমা দিওয়ালা দেবী (৭৫), বাবা দীনেশ (৫০), মা দর্শনা দেবী (৪২) ও বোন উর্বশী (১৮)। বাবা ও মায়ের মৃতদেহ মেলে বাড়ির বাথরুমে। ঠাকুমা ও বোনের দেহ মেলে ঘরের মধ্যে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কেশব বহুদিন থেকেই নেশা করত। দিওয়ালির সময়ে তার কাজ চলে যায়। এরপর আরও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সে। পরিবারের লোকজন তাকে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন। মঙ্গলবার সেই কেন্দ্র থেকে ফিরেই পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কেশব। বাড়ির সবাইকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার মতলব করছিল সে। কিন্তু কোনওভাবে তাদের বাড়ির পাশে থাকা আত্মীয়রা বিষয়টি জেনে যান। তারাই কেশবকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই পরিবারের চারজনকে খুন করেছে কেশব।