নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার মোদী সরকারের কৃষক বিরোধী নীতি বিরুদ্ধে ভারত বনধ পালন করছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। বনধের জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। পাশাপাশি কৃষি সংক্রান্ত কাজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান জারি থাকবে।
শুক্রবার কৃষকদের আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। চতুর্থ দিনের মুখে দেশ জুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। এদিন সকাল ছটা থেকেই দেশজুড়ে বনধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। ইতিমধ্যে সরকার পক্ষের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। পাশাপাশি এদিন আন্দোলনরত কৃষকরা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতেও যোগ দেবে। দেশজুড়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে রাখার ডাক দিয়েছে তাঁরা। বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে সেই কর্মসূচি। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। ইতিমধ্যে কৃষকদের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি হরিয়ানায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন। পাশাপাশি কৃষকদের ওপর ড্রোনের মাধ্যমে যে কাঁদানে গ্যাস ছড়ানো হয়েছে, তারও নিন্দা করেছেন।
কৃষকদের ডাকা বনধ কর্মসূচির মধ্যেও দিল্লি চলো অভিযান কর্মসূচি জারি থাকছে। এদিকে কৃষকদের ডাকা দিল্লি চলো অভিযানকে ভেস্তে দিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়ডা প্রশাসন। নয়ডা ও গৌতম বুদ্ধ জেলার বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত হটাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কৃষক নেতা জগজীত সিং দালেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা সীমান্তে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেন মনে হচ্ছে আমরা পাকিস্তানি। কিন্তু আমরা পাকিস্তানি নই।‘