নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : প্রথম বোমাটি ফাটিয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া। এরপর সৌরভ ভরদ্বাজও তোপ দেগেছিলেন। সেই রেশ টেনে এবার দিল্লির সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও সুর চড়াল আপ। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে চার বিধায়ককে হাজির করিয়ে আপ মুখপাত্র সঞ্জয় সিং অভিযোগ করেন যে, এই বিধায়কদের ২০ কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল। টাকা না নিলে সিবিআইয়ের ভয় দেখানো হয়েছিল। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অজয় দত্ত, সঞ্জীব ঝা, সোমনাথ ভারতী ও কুলদীপ কুমার নামে দিল্লির চার আপ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন আপ মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। কীভাবে রাজধানীতে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে মোদি-শাহের দল, তা ‘ফাঁস’ করেন। তিনি বলেন, ‘এই চার বিধায়কের কাছে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছিল যে, হয় ২০ কোটি টাকা করে নাও। নতুবা সিসোদিয়ার মতো সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হও।’ আপ মুখপাত্রের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মতো এখানেও মণীশ সিসোদিয়াকে একনাথ শিন্ডে বানাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মণীশ তা প্রত্যাখ্যান করায়, তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তখন বাকি বিধায়কদের কাছে টোপ আসতে থাকে। সঞ্জয় জানান, এই চার বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্রেই এদের টার্গেট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছিল পাশাপাশি আরও বিধায়ক ভাঙাতে পারলে অঙ্কটা ২৫ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে বলে টোপ দেওয়া হয়েছিল।’ তাঁর দাবি, অন্য রাজ্যে বিজেপি সফল হলেও দিল্লিতে পারবে না গেরুয়া বাহিনী। এখনকার মানুষ তিনবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। মোদি-শাহকে আপ নেতার কটাক্ষ, ‘এখানে অপারেশন লোটাস অপারেশন বোগাসে পরিণত হয়েছে।’
সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক সোমনাথ ভারতী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যোগাযোগকারী বিজেপি নেতারা জানান, আমরা জানি মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের উপর মহল থেকে বলা হয়েছে, যেনতেনপ্রকারেণ আপ সরকারকে ফেলে দিতে হবে। আর আমরা সেটা করেই ছাড়ব।’ বাকি বিধায়করাও একই অভিযোগ করেন। যদিও বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, মদের লাইসেন্স নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার থেকে নজর ঘোরাতেই এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।