এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৫ বছরে দেশে Cess ও Surcharge-এ আদায় বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়ংকর। নজীরবিহীন। অকল্পনীয়। নৃশংস। অনেক কিছুই বলা যায় এই পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে। মোদি সরকারের(Modi Government) ভাণ্ডার পূর্ণ করার জন্যই বলিপ্রদত্ত গরিব থেকে বড়লোক সকল দেশবাসী। তাঁরাই কেউ Income Tax, কেউ GST, কেউ Cess, কেউ বা Surcharge দিয়ে ভরিয়ে তুলছেন মোদি সরকারের ভাণ্ডার। অর্থমন্ত্রকের প্রকাশ করা তথ্যেই জানা যাচ্ছে, Cess ও Surcharge আদায় বিগত ৫ বছরে বৃদ্ধি হয়েছে ১৩৩ শতাংশ, যা এককথায় নজিরবিহীন। সব থেকে বড় কথা এই বিপুল আদায়ের এক পয়সাও রাজ্যগুলিকে দেয়নি মোদি সরকার। এই টাকার একচ্ছত্র অধিকার কেবলমাত্র মোদি সরকারের। কেননা Cess ও Surcharge-এর টাকা ভোগ করে শুধুই কেন্দ্রীয় সরকার। সংবিধানের ২৭০ ও ২৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, Cess ও Surcharge রাজ্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে না কেন্দ্র। রাজ্য সরকারগুলি দফায় দফায় কেন্দ্রের কাছে  দাবি জানিয়েছিল, সংবিধান সংশোধন করে Cess ও Surcharge বাবদ আদায় হওয়া অর্থের একাংশ অন্তত যেন তাঁদের দেওয়া হয়। কিন্তু সে পথে হাঁটা দেয়নি মোদি সরকার।

আরও পড়ুন অমিত শাহজী স্বাগতম, পোস্টারে ছয়লাপ Washing Powder বিজেপি

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্য বলছে, ৫ বছর আগে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে Cess ও Surcharge বাবদ সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছিল ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকায়। চলতি আর্থিক বছরে ফেব্রুয়ারি মাসেই Direct Tax যা মূলত Personal Tax ও Corporate Tax হিসাবে আদায় হয়, সেই খাতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১৪ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত যা হিসেব, লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে অঙ্কটা ১৬ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, মোদি সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে ভারতবাসীর দেওয়া Tax। কিন্তু বিনিময়ে সেই মোদি সরকার রাজ্যগুলিকে ছিঁটেফোঁটাও Cess ও Surcharge এর ভাগ দিচ্ছে না। এই টাকায় মোদি সরকারেরই একচ্ছত্র অধিকার। কোভিড পরবর্তী সময়ে চরম অর্থসঙ্কটে নাজেহাল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারগুলির কপালে এর ছিটেফোঁটাও জোটেনি। এবং জুটবেও না। কারণ, GST বাবদ আদায় হওয়া রাজস্ব কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ভাগাভাগি হলেও Cess ও Surcharge-এর টাকা ভোগ করে শুধুই কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন Silicon Valley Bank-এর পতনে জেরবার মুম্বইয়ের SVC Co-operative Bank

বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের যথেচ্ছাচারের জন্যই রাজ্যগুলির আর্থিক সঙ্কট বেড়ে চলেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বহু ক্ষেত্রেই মোদি সরকার প্রাপ্য মেটাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে এর হাতেগরম উদাহরণ। বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও আবাস যোজনার টাক দুটি থেকেই বঞ্চিত করে রেখেছে মোদি সরকার। দুর্নীতি ‘অডিটে’র নামে এই স্বেচ্ছাচারের জন্যই চাপ বাড়ছে রাজ্যের ওপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সম্প্রতি বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘১ লক্ষ কোটি টাকা আমাদের বকেয়া কেন্দ্রের কাছে। দিচ্ছে না কেন?’ এই একই দাবি প্রায় সব বিরোধী রাজ্যের। মোদির ভারতের নাগরিক হওয়ার ‘অপরাধে’ কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন দিতে হয় একঝাঁক সেস। পরিষেবা থেকে পরিবহণ, কিংবা জনকল্যাণ থেকে সামাজিক সুরক্ষা, সর্বত্র এক নজির। এভাবেই কৃষি কল্যাণ, পরিকাঠামো, স্বচ্ছ ভারত, শিক্ষা এবং জ্বালানি সেসের বোঝা চেপেছে সাধারণ মানুষের কাঁধে। আর সারচার্জ বসানো হয় বেশি আয় তথা সর্বোচ্চ স্তরের আয়কর স্ল্যাবের ওপর। কিন্তু বিনিময়ে কী পাচ্ছে দেশবাসী? ১০০ টাকা লিটার পেট্রোল, ১০০০ টাকার বেশি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান ‘পদ্মশ্রী’ দর্শনম মোগুলাইয়া

রায়বরেলি-অমেথিতে কংগ্রেসের প্রচারের নেতৃত্বে প্রিয়াঙ্কা

অক্ষয় তৃতীয়ার আগে সস্তা সোনা, আশায় বুক বাঁধছেন ক্রেতারা

কাসভের গুলিতে মারা যাননি হেমন্ত কারকারে, বিস্ফোরক দাবি কংগ্রেস নেতার

রাজস্থানে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় রাহুল- সোনিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর