নিজস্ব প্রতিনিধি: মায়ানগরী মুম্বইয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দু’দিনের সফর। তখন থেকেই মুম্বইয়ের সমস্ত ফোকাস তাঁর দিকে। তা সে সিদ্ধি বিনায়কে পুজো দেওয়া হোক বা পুলিশ মেমোরিয়ালে ২৬/১১-এর হামলায় শহিদ পুলিশদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হোক। তাঁর পিছনে ছুটেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। এরপর মঙ্গলবার রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র তথা মহারাষ্ট্রের পর্যটন এবং পরিবেশ মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে এবং শিবসেনার মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
যা নিয়ে তীব্র কৌতুহল ছিল দেশের রাজনৈতিক মহলের। এরপর বুধবার দুপুরে বসলেন মুম্বইয়ে বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে। কে ছিলেন না ওই অনুষ্ঠানে। জাভেদ আখতার, মেধা পাটকর থেকে শুরু করে স্বরা ভাস্কর, মহেশ ভাট, রিচা চাড্ডার মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের পাশে নিয়েই তৃণমূল নেত্রী সুর চড়ালেন বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ে বিদ্বজ্জনদের পাশে নিয়েই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের টার্গেট স্থির করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘ তাঁর মূল লক্ষ্য বিজেপিকে বোল্ড আউট করা’।
পাশাপাশি তিনি নাগরিক সমাজকেও এগিয়ে আসার বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, ‘নাগরিক সমাজকে আগামী দিনের কথা ভাবতে হবে। অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশের শাসন সম্ভব নয়। আমরা বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ব। পেশি শক্তি দিয়ে দেশ চালানো যায় না। আমার লক্ষ্য গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। বিজেপি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না’। তাঁর বক্তব্যের মাঝে ঘনঘন করতালি পড়ল এদিন। মমতাও বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার গুরুত্ব। তাঁর পরামর্শ, ‘নাগরিক সমাজ একটি কমিটি বানাক। আপনারা আমাদের দিশা দেখান। শুরুটা মুম্বই থেকেই হোক। যা সাহায্য লাগে, করব। মুম্বই আর কলকতা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তবে দিল্লি ভয় পাবে’। তবে শুধু মুম্বই নয়, সর্বভারতীয় নেত্রীর মুখে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লির বিশিষ্টজনদেরও প্রসঙ্গ উঠে এল। এই লড়াইয়ে তাঁদেরও পাশে টানার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।