নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলাসপুর: ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারের এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোমবার বিলাসপুরে এসেছিলেন রাহুল গান্ধি। ওই কর্মসূচি ছেড়ে আকাশপথ কিংবা সড়কপথে না ফিরে, ট্রেনে সাধারণ শ্রেণিতে সওয়ার হয়ে রায়পুর ফিরলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীপক বৈজ, রাজ্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কুমারী শেলজা। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে কাছে পেয়ে সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই নিজস্বী তোলেন এবং অটোগ্রাফ নেন।
সম্প্রতি কুলির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। আনন্দবিহার স্টেশনে পৌঁছে কুলিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের মতোই লাল জামা গায়ে চাপিয়ে মাথায় বাক্স-প্যাঁটরা চাপিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল ওয়ানাডের সাংসদকে। সোনিয়া তনয়ের ওই নব অবতার সমাজমাধ্যমে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তাঁকে।
এদিন বিলাসপুরে সরকারি কর্মসূচি শেষে রায়পুরে ফেরার কথা ছিল রাহুলের। সড়কপথে ফেরার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল কনভয়ও। কিন্তু প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তাঁর সঙ্গীদের জানান, ট্রেনেই রায়পুর ফিরবেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই সড়কপথে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করেন সবাই। বিলাসপুর থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে চাপেন রাহুল গান্ধি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীপক বৈজরা। সাধারণ কামরাতেই ওঠেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। চোখের সামনে রাহুলকে দেখে ট্রেনের মহিলা যাত্রীরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অনেকেই রাহুলকে ঘিরে ধরে নিজস্বী তোলার আবদার জানান। হাসিমুখে সেই আবদার মেটান ওয়ানাডের সাংসদ। মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে খোশগল্প করার পাশাপাশি তাদের নানা সমস্যার কথাও শোনেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।