নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়েছে গভীর নিন্মচাপ। রবিবার সেই নিন্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাউং’ –এ পরিণত হবে। আগামী ৫ ই ডিসেম্বর দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাউং’ দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। সেইসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৪-৬ ই ডিসেম্বর দক্ষিণ ওড়িশার বেশিরভাগ অংশ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,’ এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩ রা ডিসেম্বর থেকে ওড়িশায় শুরু হতে পারে বৃষ্টি। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে এর তীব্রতা আরও বাড়বে।‘ এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাওয়া অফিস ৪- ৫ই ডিসেম্বর হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়, গজপতি অঞ্চলে। হাওয়া অফিসের তরফে জানা গিয়েছে, ৪ ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ওড়িশা উপকূলের গজপতি, গঞ্জাম, পুরী এবং জগৎসিংপুর অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। ধীরে ধীরে তা ৪০-৫০ কিলোমিটার থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
৫ ডিসেম্বর মালকানগিরি, কোরাপুট ও রায়গড় জেলায় গঞ্জাম, পুরী ও জগৎসিংহপুর ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার প্রশাসনের তরফে সমস্ত উপকূলীয় ও দক্ষিণের জেলা আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষি বিভাগের আওতাধীন কর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এই বৃষ্টিপাতের কারণে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে ৫৪টি ট্রেন বাতিল করেছে।