নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কী হবে, প্রভুদের মুখরক্ষায় কতটা হিংস্র হতে পারে শুক্রবার বুঝিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘বিবিসি’র তৈরি তথ্যচিত্রের প্রদর্শন রুখতে গিয়ে পড়ুয়াদের উপরে গুণ্ডাদের মতো হামলা চালাল খাকি উর্দিধারীরা। শিক্ষার্থীদের উপরে নৃশংসভাবে শুধু লাঠিচার্জই করেনি, সবক শেখাতে ২৪ পড়ুয়াকে গ্রেফতারও করেছে। দিল্লি পুলিশের নারকীয় তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তবে পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি-র তৈরি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ ইতিমধ্যেই দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী টুইটার ও ইউটিউব থেকেও ওই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। প্রচুর মানুষ উৎসাহের সঙ্গেই প্রামাণ্য তথ্যচিত্রটি দেখছেন। যারা দেখছেন তাঁরা ‘বিবিসি’র তথ্যচিত্র পরিচালকের প্রশংসায় পঞ্চমুখও হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ওই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত দেশের রাজধানী। জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। সেই বিতর্ক থামতে না থামতেই ফের অশান্ত হয়ে উঠল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিন বিকেল চারটের সময়ে মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিল দলিত ছাত্র সংগঠন ভীম আর্মি স্টুডেন্টস ফেডারেশন। কিন্তু ওই প্রদর্শনী রুখতে কলা বিভাগের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গেট আটকে দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রদর্শনী আয়োজনে ব্যস্ত পড়ুয়াদের উপরে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েকজনকে মাটিতে ফেলে লাথি, কিল, চড়, ঘুষিও মারা হয়। পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানালে গ্রেফতার করা হয়।