নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এবার অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এ আর্থিক অনিয়মের দায়ে মামলা রুজু করল ইডি। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ওই মামলা রুজু করা হয়। যদিও ইডির মামলাকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর কথায়, ‘প্রভুদের খুশি করতে মামলা দায়ের করেছে ইডি। ওরা যা খুশি করতে পারে। আমি কোনও অপরাধ করিনি। তাই ভয় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
মহুয়ার বিরুদ্ধে শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির সঙ্গে যোগসাজশ করে সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন গুন্ডামিতে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি এথিক্স কমিটি বৈঠকেও বসে। নজিরবিহীন তৎপরতায় পেল্লাই সাইজের রিপোর্ট তৈরি করে মহুয়াকে সাংসদ থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশও করে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা কমিটি। সেই সুপারিশ মেনে গত ডিসেম্বরে মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ করা হয়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শির্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ। ওই মামলা এখনও শীর্ষ আদালতে বিবেচনাধীন। ঋ
গত সপ্তাহেই প্রশ্নের বিনিময়ে ঘুষ কাণ্ডে মহুয়ার বাবার কলকাতার ফ্ল্যাট ও প্রাক্তন সাংসদের কৃষ্ণনগর-করিমপুরের কার্যালয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তবে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। সিবিআইয়ের হানার কয়েকদিন বাদে বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন মামলায় মহুয়াকে তলব করেছিল ইডি। ২৯ মার্চ দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও ভোটের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।