নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় (Union Ministry) থাকাকালীন আর্থিকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন সংযুক্ত জনতা দলের (JDU) প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি রামচন্দ্রপ্রসাদ সিংহ (RCP Singh)। আর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে সুকৌশলে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সেই সঙ্গে সম্পত্তির হিসেবও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তাতেই গোঁসা হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। শনিবার রাতে আচমকাই জেডিইউয়ের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সংযুক্ত জনতা দলকে ডুবন্ত জাহাজ আখ্যা দিয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রাক্তন আমলা আরসিপি সিং একসময়ে দলের সুপ্রিমো নীতীশের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়ে সংযুক্ত জনতা দলে নাম লেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সভাপতি হন। এমনকী রাজ্যসভায় পাঠানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পরেই গোপনে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। আর সেই খবর নীতীশের কানেও পৌঁছয়। একসময়ের ঘনিষ্ঠ নেতার এমন বিশ্বাসঘাতকতায় চটে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর আরসিপি সিংকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাননি। ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করতে হয় প্রাক্তন আমলাকে।
সম্প্রতি আরসিপি সিংকে সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার নির্দেশ দেন নীতীশ। আর তাতেই গোঁসা হয় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এদিন রাতে নিজের গ্রামের বাড়ি নালন্দা জেলার মুস্তফাপুরে পৌঁছেই আচমকাই সংযুক্ত জনতা দলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দেন আরসিপি সিং। পদত্যাগের পরে নিজের পুরনো দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, ‘ঈর্ষার কোনও চিকিৎসা হয় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্র চলছিল। জেডিইউ এখন ডুবন্ত জাহাজ। রাজনীতি ছাড়ছি না। বিকল্প রাস্তা খোলা রয়েছে। ওই রাস্তায় হাঁটব।’