নিজস্ব প্রতিনিধি, শিবকাশী (তামিলনাড়ু): ছবি একঝলকে দেখে মনে হবে এটা কোনও মূর্তির ছবি। দেখার মধ্যে ভুল কিছু নেই। কারণ, কোনও কোনও মূর্তির গায়ের রঙ একটু মাজা থাকে। কোনও মূর্তির রঙ একটি তামাটে রঙের হয়ে থাকে। মোটমোট মূর্তির সঙ্গে মানুষের গায়ের রঙের একটা তফাৎ চোখে পড়ে। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ছবি দেওয়া হয়েছে, সেটা মানুষের মূর্তির ছবি নয়। যাকে দেখছেন তিনি জীবিত। কাজ করেন শিবকাশীর বাজি কারখানায়। কী করে চেহারার রঙ এমন হল, সেটাই আসল গল্প।
আসলে বাজি কারখানায় কাজ করতে করতে পটকার মশলা শরীরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের চর্মরোগ। কাজ করতে হয় রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। হাতে থাকে না দস্তানা। মুখে থাকে না মাস্ক। এই ধরনের কাজ করার পর হাত-পা পরিষ্কার করতে গেলে ন্যূনতম যেটুকু থাকা দরকার শিবকাশীর কোনও বাজি তৈরির কারখানায় তা নেই।
ঠিক ১০ বছর আগে শিবকাশীতেই একটি বাজি কারখানায় ঘটেছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণ।প্রাণ হারান ৪০ জন (সরকারি বয়ানে)। আহত হন ৭০ জন। আহতের মধ্যে কারও হাত বিস্ফোরণে উড়ে যায়, কারও ওড়ে পা। ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, আগামীদিনে এই ধরনের বিপত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেওয়া যে হয়নি, সেটা এই ছবি দেখেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে। তাহলে শিবকাশী আরও একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছে, যেটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।