নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ১৪ বছর কারাবাসকালীন জেলের অন্দরে ভদ্র আচরণের কারণেই বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) জমা দেওয়া হলফনামায় কুখ্যাত ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার (Gujrat Government)। ওই হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) পক্ষ থেকে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার ছাড়পত্র মিলেছিল। সেই ছাড়পত্রের ভিত্তিতেই জেল মুক্তি ঘটানো হয়েছে ১১ ধর্ষকের।’
২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার (Gujrat Riot) সময়েই গেরুয়া নরপিশাচদের যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পালানোর পথেই গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। ধর্ষণের সময়ে গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। ধর্ষণের ফলে তাঁর গর্ভের সন্তানও নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ধর্ষকদের হাতে খুন হতে হয় পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকেও। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শিহরে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রথম থেকেই ধর্ষকদের আড়াল করার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ঘটনায় অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল।
গত ১৫ অগস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তির দিনেই বিলকিস বানোর ধর্ষণে জড়িত ১১ আসামীকে জেল থেকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। আর বিজেপি শাসিত সরকারের সেই সিদ্ধান্তে গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দেয়। গুজরাত সরকারের ওই ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত বাতিলের আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), সিপিএম নেত্রী সুভাষিনী আলি (Subhashini Ali) সহ বেশ কয়েকজন। ওই মামলার শুনানিতে কুখ্যাত অপরাধে জড়িতদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।