নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মণিপুর নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বুধবার সকালে সভার কাজ শুরু করার পরেই তিনি জানান, সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কবে ওই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে এবং কতক্ষণ আলোচনা হবে তা পরে ঠিক করা হবে। এদিন প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় ২০ বছর বাদে লোকসভায় কোনও সরকার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে চলেছে। ২০০৩ সালে শেষ বারের মতো লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেবার অনাস্থার মুখোমুখি হয়েছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধিন এনডিএ সরকার।
মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে গত চারদিন ধরেই সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। যদিও সরকার পক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি তারা। আর ওই আলোচনায় সরকারের হয়ে জবাব দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকি মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভায কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে মণিপুর নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেই আর্জিতে সাড়া দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব।
উল্টে এদিন সকাল নয়টা ২০ মিনিট নাগাদ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে কংগ্রেসের সব সাংসদ স্বাক্ষর করেছেন। নিয়মানুযায়ী, সরকারের বিরুদ্দে অনাস্থা আনতে হলে কমপক্ষে ৫০ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌরব গগৈ বলেন, ‘বিজেপিই আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য করেছে। গোটা দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে, মণিপুরে কী ঘটছে। কেন দুই মাসের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সরকার হাত গুটিয়ে বসে রইল। জাতি হিংসার পিছনে ষড়যন্ত্রকারী কারা, তা ফাঁস হওয়া উচিত।’