নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার কাজ চলছে জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চাইল কেন্দ্র। আর মোদি সরকারের অনুরোধ মেনে তিন মাসের জন্য মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি। যদিও কেন্দ্র বার বার সময় কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের।
বিরুদ্ধ কণ্ঠস্বরকে দমাতে ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে স্বাধীন দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। গত বছরের মে মাসে আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না। যাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যাঁরা জেলে বন্দি রয়েছেন, তাঁরাও জামিনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। গত বছরের অক্টোবরে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার জন্য পয়লা মে পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময় দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার এজলাসে মামলার শুনানির সময়ে কেন্দ্রের প্রধান আইনজীবী তথা অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটারামানি জানান, ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করার আগে শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে। ফলে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হোক। সেই আর্জিতে সারা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।