নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা বিতর্ক মামলায় ফের গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও বহাল রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। মুখ্য তথ্য কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানানোর জন্য গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মার্চ তথ্য কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব। তিনি জানিয়ে দেন, বৃহত্তর জনস্বার্থেই প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত শংসাপত্র প্রকাশ্যে আনার জন্য বার বার দাবি জানানোয় কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।
গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই কেজরিওয়াল ও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আম আদমি পার্টির দুই নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে গুজরাত মেট্রোপলিটান আদালত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেশনস কোর্টের দ্বারস্থ হন দুই আপ নেতা। গত ৭ অগস্ট সেশনস কোর্ট মামলার বিচার প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে। এর পরে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আম আদমি পার্টির দুই নেতা। কিন্তু গত ১১ অগস্ট গুজরাত হাইকোর্টও কেজরিদের আর্জি খারিজ করে দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি মেলেনি। বরং গুজরাত হাইকোর্টেই আবেদন জানানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের এজলাসে নির্দেশ রিভিউয়ের আবেদন জানান আপ সুপ্রিমো। কিন্তু তাতে সুরাহা মেলেনি।