নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: লোকসভা ভোটের মুখে ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে মোদি সরকার। আর ওই আইন চালুকে মোদি সরকারের ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে আখ্যা দিল প্রয়াত তামিল নেত্রী জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে। মঙ্গলবার দলের সাধারণ সম্পাদক ই পালানিস্বামী বিজেপি সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেছেন, ‘লোকসভা ভোটের মুখে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতেই সিএএ কার্যকর হয়েছে। বিভাজনের দাওয়াই দিয়ে ভোটে রাজনৈতিক মাইলেজ তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।’ তামিলনাডুতে সিএএ কার্যকর করার বিরুদ্ধে দল আন্দোলনে নামবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চার বছর আগে পাশ হলেও গতকাল সোমবার রাত থেকেই দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কাযকর করেছে মোদি সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই এ বিষয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কার্যকর হবে না সিএএ। মমতার দেখানো পথে হেঁটে কেরলেও সিএএ কার্যকর না করার ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলিও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু নিয়ে সুর চড়িয়েছে।
বিজেপি বিরোধী শিবিরে না থাকলেও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে। দলের সাধারণ সম্পাদক ই পালানিস্বামী হুঙ্কার সুরে বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মোদি সরকারের ঐতিহাসিক ভুল। মুসলিম এবং শ্রীলঙ্কার তামিলদের নাগরিকত্ব না দিয়ে বিভাজনের রাজনীতির পথে হেঁটেছে। বিজেপির ওই ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে আন্দোলন শুরু হবে তাতে সামিল হবেন এআইএডিএমকে কর্মীরাও। যে কোনও মূল্যে সিএএ কার্যকর রুখে দেওয়া হবে।’