নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: জেলের মধ্যেই তাকে বিষ মেশানো খাবার দেওয়া হয়েছে। মাত্র সাত দিন আগে অর্থাৎ ২১ মার্চ বারাবাঁকির সাংসদ-বিধায়ক আদালতের বিচারকের কাছে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বাহুবলী নেতা মুখতার আনসারি। আর ওই অভিযোগের সাতদিনের মধ্যেই ‘রহস্যজনকভাবে’ মৃত্যু হল পাঁচ বারের বিধায়কের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ৬৩ বছর বয়সী বাহুবলী নেতার। কিন্তু মুখতারের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতেই চাপে পড়ে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কংগ্রে্সের পক্ষ থেকে প্রাক্তন বিধায়কের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ বহুল চর্চিত অ্যাম্বুলান্স মামলায় বারাবাঁকির সাংসদ-বিধায়ক আদালতের চার নম্বর এজলাসে হাজির করা হয়েছিল মুখতার আনসারিকে। মামলার শুনানির সময়েই তার আইনজীবী অভিযোগ করেন, ‘তার মক্কেলকে জেলের ভিতরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা চলছে। বিষ মেশানো খাবার দেওয়া হয়েছে।’ মুখতারের অভিযোগ লিখিতভাবে বিচারকের সামনে পেশ করা হয়। ওই অভিযোগ পত্রে্ব বাহুবলী নে্তা লিখেছিলেন, ‘গত ১৯ মার্চ রাতে আমাকে বিষাক্ত খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল।ওই খাবার খাওয়ার পরেই মারাত্মকভাবে অসুস্থ বোধ করি। এতটাই অস্বস্তি হচ্ছিল যে মনে হচ্ছিল, প্রাণ বেরিয়ে যাবে। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’
মুখতারের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারক বান্দা জেল কর্তৃপক্ষকে মুখতারের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই নির্দেশের পরেও হুঁশ ফেরেনি বান্দা জেল কর্তৃপক্ষের। দায়সারাভাবে একজন অস্থি ও সাধারণ চিকিৎসককে দিয়ে মুখতারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। দুজনে বাহুবলী নেতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে রিপোর্ট দেন, সারা দিন উপোস করার পরে বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই নাকি ওই রকম অনুভব হচ্ছে।’ এদিন মুখতারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে ওই দুই চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়েও তদন্তের দাবি উঠেছে।