ex-intelligence-bureau-officer-accused-of-raping-minor-girl-in-delhiনিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯৯৯ সালে দিল্লিগামী কাঠমান্ডুর বিমান হাইজ্যাকের কথা কার না জানা নেই। এই ঘটনার দীর্ঘ ২৩ বছর পরে গত ১ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে খতম করা হল ওই হাইজ্যাকের মাস্টারমাইন্ড মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিমকে। সম্প্রতি এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী IC-814 ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের হাইজ্যাকারদের মধ্যে অন্যতম সদস্য ছিল এই জহুর ইব্রাহিম। জইশ-ই-মোহাম্মদ দলের এই সন্ত্রাসী বহু বছর ধরে জাহিদ আখুন্দ নামে মিথা পরিচয়ে করাচিতে বসবাস করছিলেন। গত ১ মার্চ করাচির আখতার কলোনিতে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে কয়েকজন অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দ্বারা ওই জঙ্গির মাথায় দুবার গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর।
রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে, মিস্ত্রি এত বছর ধরে করাচির আখতার কলোনিতে একটি আসবাবের দোকান চালাতেন। জানা যাচ্ছে মিস্ত্রির মৃত্যুর পরে তাঁর জানাজায় যোগ দিয়েছিল জইস-ই মুহম্মদ সন্ত্রাসী দলের অপারেশন চিফ এবং ওই দলের নির্মাতা আরও এক কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আসগর। তবে কে বা কারা মিস্ত্রিকে খতম করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ব্যাপারে সরকারি তরফে এখনও কোনও রিপোর্ট সামনে আনা হয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় এয়ারলাইন্সের IC-814 বিমানটিকে আজ থকে প্রায় ২৩ বছর আগে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে নেপাল থেকে হাইজ্যাক করে পাঁচ সন্ত্রাসী। বিমানটি ছিনতাইয়ের সময়ে তাতে ১৭৯ জন যাত্রী এবং ১১ জন ক্রু সদস্য ছিল। হাইজ্যাক করা ওই বিমানটিকে জঙ্গিরা প্রথমে অমৃতসর, সেখান থেকে লাহোর এবং তারপর সেখান থেকে দুবাইতে নিয়ে যায়। পরে সেটিকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে রাখা হয় যা তখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই ঘটনায় জঙ্গিরা রুপিন কাত্যাল নামে একজন যাত্রীকে হত্যা করে এবং অবশেষে লাহোরের জেলে থাকা জঙ্গিদের বিনিময়ে ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে সেটি ছাড়া পায়। ওই বিমনাটিকে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে ভয়ঙ্কর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার আলভি, সৈয়দ ওমর শেখ এবং মুশতাক আহমেদ জারগারকে ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছিল।