নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসির বিনিয়োগকারীরা কার্যত পথে বসেছেন। গত দু’দিনে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা খুঁইয়েছেন তাঁরা। ফলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে তড়িঘড়ি নিজেদের শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটছেন। যদিও এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি সাময়িক ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
গত মঙ্গলবারই চলতি আর্থিক বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই রিপোর্টে প্রত্যাশার চেয়ে লাভের অঙ্ক অনেকটাই কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা। বুধবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারদর। প্রায় ১১ শতাংশ কমে যায় শেয়ারমূল্য। দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাঙ্কের শেয়ারমূল্যে ধস নামার ফলে শেয়ারবাজারও বড় সড় ধাক্কা খায়। একদিনেই ১,৬২৮ সূচক কমে যায় সেনসেক্স। বুধের পরে বৃহস্পতিবারও পতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। ফের শেয়ারমূল্য ৩.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১,৪৯০ টাকায়। পর পর দু’দিনে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেখানে ঋণদাতাদের দেনা এবং পরিশোধের অনুপাত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছে সেখানে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে লেন্ডারস ক্রেডিট-ডিপোজিট অনুপাত ১১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ টাকা জমা পড়ার তুলনায় ঋণদানের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। টাকা জমা করানোর জন্য গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে স্থায়ী আমানতের উপরে সুদবৃদ্ধির পথে হাঁটা ছাড়া এইচডি্এফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিকল্প কোনও পথ খোলা নেই বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।