এই মুহূর্তে




মঙ্গলে অবসর রাজীব কুমারের, পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাছতে সোমে বৈঠক




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অবসর নিচ্ছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আর তাঁর জায়গায় নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বেছে নিতে আগামী সোমবারই (১৭) জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। ওই কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘাওয়াল। সূত্রের খবর, পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি করেছে সার্চ কমিটি। ওই তালিকা থেকেই রাজীব কুমারের উত্তরসূরি হিসাবে কাউকে বেছে নেওয়া হবে। কে পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পান, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেশের রাজনৈতিক মহল।

এদিন রীতি ছিল, কোনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অবসরে গেলে, তাঁর পরিবর্তে যিনি প্রবীণ নির্বাচন কমিশনার থাকবেন তিনিই শীর্ষ পদে বসবেন। সেই হিসাবে জ্ঞানেশ কুমারের ওই পদে বসার কথা। কিন্তু মোদি সরকারের এক সিদ্ধান্তে তা হচ্ছে না। আসলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বরাবরই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নিজেদের পছন্দের কোনও প্রাক্তন আমলাকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠছে। গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, দেশে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে একটি কমিটি। আর সেই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু মোদি সরকার তাতে সিঁদূরে মেঘ দেখেছিল। তড়িঘড়ি সরকার প্রস্তাবিত কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম ছাঁটাই করে ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র নাম নিয়োগ কমিটিতে ঢোকাতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস’ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্মস অফ অফিস) বিল ২০২৩’ পাশ করানো হয়েছিল। যার ফলে নির্বাচন কমিশনের কাজের ধারা সম্পর্কে সড়গড় নন, এমন আমলাও সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।

ওই নয়া বিধি অনুযায়ী রাজীবের বিকল্প বেছে নিতে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি বর্তমান দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ এবং সুখবীর সিংহের পাশাপাশি অন্য নামও সম্ভাব্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারদের তালিকায় রেখেছে। দেশের যিনি নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হবেন তিনিই চলতি বছরের শেষের দিকে বিহার এবং আগামী বছরের গোড়ার দিকে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু, অসম ও কেরলের বিধানসভার ভোট পরিচালনা করবেন।

প্রসঙ্গত ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ আমলা হিসাবে পরিচিত রাজীব কুমার। গত পৌনে তিন বছরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়াও লোকসভা ভোট এবং কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ,  ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। তবে বার বারই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। মূলত বিজেপির হয়ে সরাসরি কাজ করার অভিযোগ উঠেছে রাজীবের বিরুদ্ধে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নাটকীয় মোড়! দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাংলো থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি, দাবি দমকলের

বাংলোয় ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধারের সঙ্গে বিচারপতির বদলির সম্পর্ক নেই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বিষক্রিয়ার আশঙ্কা, বাজার থেকে সরানো হল কয়েক হাজার কাশির ওষুধ

ইনস্টাগ্রামে লাইভে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী, ৪৪ মিনিট ধরে ভিডিয়ো দেখেও বাধা দিলেন না স্ত্রী ও শাশুড়ি

‘তোমার মা চাইছেন সৌরভকে খুন করা হোক’- কালোজাদুতে বিশ্বাসী সাহিলের মগজধোলাই করেছিল মুসকান

স্বস্তির খবর, ২৪-২৫ মার্চের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট স্থগিত হতে পারে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর