নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিল্লি বিধানসভায় ছিল আস্থা ভোট। এই ভোটে জয়লাভ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এদিন আম আদমি পার্টির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা রণবীর সিং বিদুরীর উপস্থিতিতে হয় এই আস্থা ভোটে ।তবে আট জন বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে সাত জন বিধায়ক এদিন আস্থা ভোটে থাকেননি।
আস্থা ভোটের প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, কিছুদিন আগে দুজন বিধায়ক তাঁর কাছে এসে জানিয়েছিল যে তাঁদের কাছে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা করে অফার এসেছে। ওই আপ বিধায়করা তাঁকে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হবেন। এর ফলে সরকারের বেকায়দায় পড়তে পারে। একইসঙ্গে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি জানতে পেরেছেন বিজেপি সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য আম আদমি পার্টির ২১ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপি যাতে এই পরিকল্পনায় সফল না হয়, সেজন্যই আস্থা ভোটে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল।
এদিন বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল বলেন, ‘আপ বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জার, যে কারণে তারা চারদিক থেকে আক্রমণের চেষ্টা করছে।“ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আস্থা ভোট চাইল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। ৭০ সদস্যের বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬২ জন এবং বিজেপির ৮ জন বিধায়ক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখন জেলে বন্দি। এদিকে আস্থা ভোটে যাওয়ার আগে এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মারফত আদালতে হাজিরা দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে একাধিকবার ইডির সমনে সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। একাধিকবার ইডির ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।