নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর শোভাযাত্রার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। গতকাল অর্থাৎ রবিবারই রাম নবমী উপলক্ষে করা শোভাযাত্রায় পাথর নিক্ষেপ করে অন্য গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সদস্য। এই ঘটনার একদিনের মধ্যেই পাথর নিক্ষেপকারীদের সনাক্ত করে তাঁদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। জানা যাচ্ছে, রবিবার দুপুরে হওয়া এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে অতি সক্রিয় হয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবারের মধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে অভিযুক্তদের। তারপরেই তাদের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে চৌহান সরকার।
জানা যাচ্ছে সোমবার সকালেই ওই অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে বুলডোজার নিয়ে উপস্থিত হন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। রবিবারের এই হামলায় যারা জড়িত ছিল তাঁদের অধিকাংশেরই বাড়ি মধ্যপ্রদেশের মোহন টকিজ এলাকায়। সোমবার সেখানেই চড়াও হয়েছিলেন পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, রবিবার ১০ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমী উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বেশ কিছু লোক। কয়েকজনকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়তেও দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এলাকায়। গোটা ঘটনায় পুলিশকর্মীসহ অন্ততপক্ষে ২০ জন আহত হন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান রবিবার রাতেই বলেছিলেন যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এই বুলডোজার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং চৌহান সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক নিন্দা করে বলেছেন, ‘যারা ধর্ষণ করে কিংবা ধর্ষককে সমরথন করে তাঁদের বাড়িতে বুলডোজার চালান হয় না। বুলডোজার শুধু এমন ঘটনা দেখে ব্যবহার করা হয় যাতে সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।’