নিজস্ব প্রতিনিধি: লখিমপুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে বারবার পড়ছে যোগী সরকার। প্রধান বিচারপতি রমানার ডিভিশন বেঞ্চ বারবার যোগী সরকারের পুলিশকে এই মামলায় অভিযুক্তকে আড়াল করা হচ্ছে বলে ভর্ৎসনা করছে। আর সেই সময়ই আসল সত্যিটা সামনে এসেছে। গত ৩ অক্টোবর কৃষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আচমকাই গাড়ি চালিয়ে পিষে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিষ মিশ্র। শুধুই কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়া নয়, গুলি করে খুন করার অভিযোগও ওঠে বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ কিংবা আশিষ মিশ্র গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করলেও ফরেন্সিক রিপোর্টে বলছে অন্য কথা। মঙ্গলবার ফরেন্সিক রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে গত ৩ অক্টোবর লখিমপুরে কৃষকদের উপর যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল সেটা আশিষের।
লখিমপুরের ঘটনায় আগেই আশিষ ও বিজেপি কর্মী অঙ্কিত দাসের লাইসেন্স যুক্ত বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গত ১৫ তারিখ সেই আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, আর সেই রিপোর্টে মঙ্গলবার স্পষ্ট জানানো হয়েছে অঙ্কিত দাস ও আশিষের বন্দুক থেকেই গুলি ছোড়া হয়েছিল গত ৩ তারিখ। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের সন্দেহ প্রমাণিত হল ফরেন্সিক রিপোর্টে। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে মোট আটজনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে বিজেপি নেতার পুত্রের গাড়ি চাপা দেওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের। এই ঘটনায় চাপে পড়ে যোগীর পুলিশ গ্রেফতার করে আশিষ মিশ্র, অঙ্কিত দাস সহ ১৩ জন অভিযুক্তকে।
গত সোমবার লখিমপুরের ঘটনায় তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে শীর্ষ আদালত রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে। যোগী সরকার সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার এজলাসে ( বেঞ্চের বাকি দুই বিচারপতি হলেন সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলি) তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্ট দেখে বেঞ্চ রীতিমতো ফুঁসে ওঠে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘রিপোর্টে নতুন কথা বলতে এই যে, ঘটনার আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আর নতুন কী আছে এই স্ট্যাটাস রিপোর্টে।’ প্রধান বিচারপতি রমানার ডিভিশন বেঞ্চ এও বলে, ‘রাজ্য সরকারকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই দশ দিনে ল্যাব রিপোর্ট পাওয়া গেল না। যেভাবে তদন্ত এগনোর কথা, সেভাবে এগোয়নি।’