নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদে হানার মূলচক্রী ললিত ঝা-কে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। যদিও দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে ১৫ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে শুক্রবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার দুপুরে সংসদ চলাকালীন লোকসভায় হানা দিয়েছিলেন দুই যুবক মনোরঞ্জন ডি ও সাগর শর্মা। একই সময়ে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আরও দুজন। চার জনকেই পাকড়াও করা। ধৃতদের জেরা করে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সংসদে হানার মূলচক্রী বা মাস্টারমাইন্ড হলেন ললিত ঝা। আদতে বিহারের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক ২৮ বছর বয়সী ললিত বেশ কয়েক মাস কলকাতার বড়বাজারের ঘাঁটি গেড়েছিলেন। সংসদে হানার পরেই ললিতকে ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। যদিও তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁর টিঁকি ছুঁতে পারেননি দিল্লি পুলিশের দুঁদে আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কর্তব্যপথ থানায় নিজেই আত্মসমর্পণ করেন ললিত। আত্মসমর্পণের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। সারারাত ধরে জেরা করা হয়।
এদিন দুপুরে ললিতকে হাজির করা হয় পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। সংসদে হানার মূলচক্রীর হয়ে কোনও আইনজীবী না থাকায় আদালতের পক্ষ থেকে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। আদালতে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘বুধবার সংসদে যে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ললিত। তবে ওই ভয়াবহ ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানার জন্যই ললিতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।’