নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রাক্তন বান্ধবী তথা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন আইনজীবীজয় অনন্ত দেহাদ্রাই। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীক জালানের এজলাসে ওই মামলা প্রত্যাহারের কথা জানান তিনি। সেই আর্জি মঞ্জুর করে বিচারপতি বলেছেন, ‘আদালতের সময় নষ্ট না করে এই ধরনেরর মামলা যদি সংশ্লিষ্ট দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেন সেটাই মঙ্গল।’
গত বছরের শেষের দিকে নিজের প্রাক্তন বান্ধবী তথা তৎকালীন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। সিবিআইকে চিঠি পাঠিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন, দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিনিময়ে সাংসদ হিসাবে পাওয়া লগ ইন আইডি তুলে দিয়েছেন মহুয়া। শুইধু তাই নয়, দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ীর নির্দেশমতো সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এর পরে একই অভিযোগ তোলেন ‘গুন্ডামিতে’ অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারও করা হয়।
এর পরেই নিশিকান্ত দুবে এবং প্রাক্তন পুরুষ বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানিকর কোনও পোস্ট না করতে পারেন সেই আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পাল্টা মহুয়ার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরন চেয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি দুজনে বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েছিলেন।