নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তাঁর মতো ‘দিন আনি, দিন খাই’ গোত্রের মানুষ কোনও দিন রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন, তা কল্পনাতেও ভাবেননি দিল্লির আজাদপুরের সবজি বিক্রেতা রামেশ্বর সিং। শুধু কী দেখা? যেভাবে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তাঁকে নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করেছেন, দুঃখের কথা শুনেছেন তাতে এতটাই আপ্লুত ছাপোষা সবজি বিক্রেতা, যে ওই সাক্ষাৎকে ‘কৃষ্ণ সুদামার’ মিলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। রাজীব তনয়কে তিনি ‘কৃষ্ণ’ আর নিজেকে কৃষ্ণের গরিব সখা ‘সুদামা’ হিসেবেই মনে করেন রামেশ্বর।
টমেটোর বাজার যখন আকাশছোঁয়া তখনই এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে নিজের যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে ভাবুক হয়ে গিয়েছিলেন আজাদপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা রামেশ্বর সিং। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধির একজন ভক্ত হিসেবে নিজেকে দাবি করে দেখা করার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন। রামেশ্বরের ওই সাক্ষাৎকার নিমিষে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। গত সোমবারই তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। ছাপোষা সবজি বিক্রেতাকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। রামেশ্বরের সঙ্গে নিজের সাক্ষাৎ ও মধ্যাহ্নভোজের ছবিও সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন ওয়ানাডের সাংসদ।
শুক্রবার ভাইরাল হওয়া সবজি বিক্রেতা রামেশ্বরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পূর্ণাঙ্গ ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে আপলোড করেছেন রাহুল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছুঁতমার্গকে দূরে সরিয়ে রেখে ছাপোষা সবজি বিক্রেতাকে নিজের হাতেই খাবার পরিবেশন করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। শুধু তাই নয়, রামেশ্বরের স্ত্রী উপোস থাকায় তাঁর জন্য ফল কেটে দেবেন কিনা, তাও আপনজনের মতো জানতে চেয়েছেন। ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে ‘স্যার’ বলে সম্ভাষণ করছেন রামেশ্বর। আর তাঁকে ছোট ভাইয়ের মতো শাসনের ভঙ্গিতে রাহুল বলছেন, ‘আমাকে স্যার বলে ডাকবেন না। সবাই আমাকে রাহুল বলেই ডাকে। আপনিও রাহুল বলে ডাকুন।’ ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মোদি জমানায় সংসার চালাতে কীভাবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে, সেই দুঃখের কথা রাজীব তনয়কে বলছেন রামেশ্বর। আর মনযোগী ছাত্রের মতো এক ছাপোষা সবজি বিক্রেতার কথা শুনছেন রাহুল।