নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ক্রেডিট হলে ফোনে ব্যাঙ্কের তরফে মেসেজ বা বার্তা পাটানো হয়। আপনি সেই বার্তা দেখে বুঝতে পারেন টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। যদি এমনটা করেন তাহলে আপনি ভাবতেও পারবেন না, কতটা ভুল করছেন। একমাত্র ব্যাঙ্কের অ্যাপ বা আপনার অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চেক করেই আপনি নিশ্চিত হবেন টাকা জমা হয়েছে। এটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এখন আপনার ভাবনা আসবেই কেন এই কথা বলা হচ্ছে। একটি ঘটনা জেনে নেওয়া যাক।
স্বর্ণ ব্যবসায়ি নাভাল কিশোর ফোনে বার্তা দেখেই ৩ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছে। দিল্লির বৃহত্তম সোনা ও রুপোর বাজার চাঁদনি চকের কুচা মহাজানিতে জুয়েলারী দোকান রয়েছে তাঁর। গত সপ্তাহে তিনি অযোধ্যা সফরে ছিলেন। এক ব্যক্তি ফোনে যোগাযোগ করে জানান, ওই জুয়েলার্সের ছেলেদের সঙ্গে ১৫ গ্রাম সোনার চেইনের চুক্তি হয়েছে। তিনি দোকানে যেতে পারবেন না। তাই টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাঙ্ক ডিটেইলস চান। কিছুক্ষণ পরে নাভাল কিশোরের ফোনে মেসেজ আসে ৯৩,৪০০ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। সোনার চেইনটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন তিনি।
পরের দিন ৩০ গ্রাম ওজনের চেইনের দরকার বলেন ওই একই ব্যক্তি। ১,৯৫,৪০০ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বলে মেসেজ আসে। সোনার চেইনটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে মোবাইল অ্যাপে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট চেক করে নাভাল কিশোর বুঝতে পারেন, কোন টাকাই জমা হয়নি। ফোনে আসা এসএমএস খুঁটিয়ে দেখে বুঝতে পারেন সেগুলি ব্যাঙ্কের ফর্ম্যাটে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি আসলে ব্যাঙ্কের নয়৷ প্রতারণার বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের গোচরে আনেন নাভাল কিশোর। ব্যাঙ্কের তরফে তাঁকে জানানো হয়, এ বিষয়ে কিছু করার নেই।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম পোর্টালে একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত নাভাল কিশোর। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ সজল ধমিজা জানিয়েছেন, “এই জালিয়াতির ঘটনা সাইবার আইনের আওতাধীন নয়। এটি প্রতারণা এবং জালিয়াতির বিষয়। কেউ ভুয়ো বার্তা পাঠিয়েছে। মামলাটি ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে আসে।’